ঢাকা ২৬শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১১ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ১০ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
প্রকাশিত: ১০:০৬ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ২০, ২০২১
ভয়াল ২১ শে আগস্ট বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলায় শহীদ মহিলা নেত্রী আইভি রহমানসহ সকলের স্বরণে শ্রদ্ধাঞ্জলী নিবেদন জানান ফ্রান্স আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিম ওয়াদা শিলু।
এক প্রেস-বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন,বাংলাদেশের ইতিহাসে সে দিনটি আর অন্যান্য দিনের মত সাধারণ দিন নয়, এক বিভীষিকাময় কলংকিত দিন। সে দিনের গ্রেনেড হামলা, দানবীয় সন্ত্রাস,নারকীয় জঘন্যতম হত্যাজজ্ঞ অবলোকন করে সারা পৃথিবীর বিবেক স্তব্ধ বাকরুদ্ধ হয়ে যায়। বিশ্ব রাজনীতিবৃন্দ এই বীভৎস হত্যাকান্ডের হোতা ঘাতকদের প্রতি ঘৃণা ধিক্ষার জানালেন। কিন্তু নামের কিছু হিংস্র জানোয়ার, কিছু অমানুষ এই ভয়াল দৃশ্য উপভোগ করলো প্রেক্ষাগৃহে ছবি দেখার মত নীরব দর্শক হয়ে। তারা আর কেউ নয়, বি এন পি নামের এ দেশেরই একটি রাজনৈতিক দল, আর এ দেশেই জন্ম নেয়া কুলাঙ্গার কিছু বেজন্মা দেশের স্বাধীনতার শত্রু কিছু ইসলামী সংগঠন। কোনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দল তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিরোধী দলকে খুন করে হত্যা করে সমূলে উৎখাত করে দিতে বার বার পরিকল্পিতভাবে হত্যাজজ্ঞ চালিয়েছে এমন প্রমাণ পৃথিবীর ইতিহাসে কয়টি আছে আমার জানার নেই।
ঘাতকেরা শুধু প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগকেই নিশ্চিহ্ন করে দিতে চেয়েছিল ভাবলে ভুল হবে, তারা একটি আদর্শ একটি চেতনাকে ধ্বংস করে দিতে চেয়েছিল। এর আগে তারা সেই চেষ্টাই করেছিল স্বাধীনতার স্তপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে।
২১ আগষ্টের গ্রেনেড হামলায় আহত শতাধিক আওয়ামী লীগ কর্মী-সমর্থক শতশত বিষাক্ত স্প্লিন্টার দেহে বহন করে অসহ্য যন্ত্রনা নিয়ে দূর্বিষহ দিন কাটাচ্ছেন। অনেকেই জীবনের তরে পঙ্গু হয়ে গেছেন। তারা বলছেন যারা মরে গেছে তারাই বেঁচে গেছে, মৃত্যু বেদনা নিয়ে এ বাঁচার চেয়ে মরাটাই শ্রেয় ছিল। অথচ ঘাতকদের অনেকেই আজও মুক্ত স্বাধীন জীবন যাপন করছে।
ওই ঘটনায় দলীয় নেতাকর্মীরা মানববর্ম রচনা করে সভাপতি শেখ হাসিনাকে রক্ষা করলেও গ্রেনেডের আঘাতে আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ মোট ২৩ জন নেতাকর্মী প্রাণ হারান। গ্রেনেড হামলার বিচারের রায়ে তৎকালীন ক্ষমতাসীন বিএনপি জোট সরকারের মন্ত্রী ও তৎকালীন সরকারের কর্মকর্তাদের সম্পৃক্ততায় প্রমাণ মেলে—ওই সরকারের প্রত্যক্ষ মদতেই হামলাটি পরিচালিত হয়েছিল ।
হামলায় আওয়ামী লীগের পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়ে শরীরে স্প্লিন্টার নিয়ে আজও মানবেতর জীবনযাপন করছেন। আহত হয়েছিলেন বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা। এখনও অনেক নেতাকর্মী সেদিনের সেই গ্রেনেডের স্প্লিন্টারের মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। অনেক নেতাকর্মীকে তৎক্ষণাৎ দেশে-বিদেশে চিকিৎসা করালেও তারা এখন পর্যন্ত পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেননি। আজকের দিনে আমি সকল শহিদদের আতœার মাগফেরাত কামন করছি।
চেয়ারম্যানঃ নারী নেত্রী বিলকিছ নূর
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ এম ইজাজুল হক ইজাজ
অফিসঃ বালুচর সিলেট
ই-মেইল ezazjournalist@gmail.com
ezazulpress@gmail.com
Mobil. 01712873715
Design and developed by AshrafTech