ঐচ্ছিক ফান্ডের অর্থ বিতরনে অভিযোগ

প্রকাশিত: ৭:২৯ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২১

ঐচ্ছিক ফান্ডের অর্থ বিতরনে অভিযোগ

বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয় অর্থ শাখা-২ প্রেরিত ১৯১ নং স্মারকের ১৮ মে ২০২০ সালের এবং ৪৪৫ নং স্মারকের ১৪ জুন ২০২০ সালের প্রেরিত মাননীয় সংসদ – সদস্যের ঐচ্ছিক তহবিল হতে অনুদান মঞ্জরী প্রদান সংক্রান্ত বরাদ্দ পত্র যাচাই করে দেখা যায় যে,বিশ^নাথ ওসমানীনগরের সংসদীয় আসনের (সিলেট ২৩০ আসন ) সংসদ সদস্য অর্থ অনুদান মঞ্জুরীর প্রদানের ক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতি এবং আত্মীকরণের আশ্রয় গ্রহন করেছেন যা মূলত দুর্নীতির নামান্তর। অথচ এম.পি মহোদয় কথায় কথায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষনা ও গলাবাজী করেন। কোনো নিয়ম-নীতির মানদন্ড বিচার না করে তিনি তার নিজের আত্মীয় স্বজনেরমধ্যে অর্থ বিতরন করে রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন। উপরোক্ত সূত্রের বরাদ্দপত্র যাচাই করে দেখা গেছে-এমপি মহাদয়ের সমন্ধীক বিশ্বনাথের পশ্চিম চান্দশীর কাপন গ্রামের মৃত মজম্মিল আলীর ছেলে নিজাম উদ্দিন এবং তার ছেলে রাফজান মিয়া প্রত্যেকে ১০ হাজার করে মোট ২০ হাজার টাকা অনুদান পেয়েছেন, তথ্য যাচাই করে আরও দেখা যায় যে, এমপি মহোয়ের নিকটাত্মীয় মো: জুবের খান, মাহফুজুর রহমান, আজমল খান, আমিরুল ইসলাম খান, মো: ফয়সল আহমদ চৌধুরী, মো: মোদাব্বির হোসেন খান, প্রমুখ অর্থ বরাদ্দ পেয়েছেন। মঞ্জুরিকৃত যাচাই করে দেখা যায় যে, এম পি মহোদয়ের একান্ত সহকারী সচিব মোঃ কয়েছ মিয়া, সহকারী একান্ত সহকারী অসিত রঞ্জন দেব এবং তার স্ত্রী ঝুমকি রানী দাশ অনুদান পেয়েছেন। আরও দেখা গেছে যে এমপি’র চামচা বলে এলাকার সুপরিচিত শহিদ আহমদ তাঁর পরিবার সদস্য এবং আত্মীয় স্বজনের বেশ কয়েকজন অনুদান পেয়েছেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন শহিদ আহমদ নিজে এবং তাঁর মাতা আফতাবান বিবি, আক্তার হোসেন, শহিদ আহমদের চাচাতো ভাই মোঃ মশরফ আলী প্রমুখ অনুদান পেয়েছেন। এছাড়াও শহিদ আহমদের বৈরাগী গাঁও বিশ^নথের বেশ কয়েকজন ঐছিক তহবিল থেকে টাকা অনুদান পেয়েছেন। এরা হলেন রেজাউল ইসলাম,আবদুল বশির, মোছাঃ শাহারুন নেছা, রুকসানা বেগম (শহিদ আহমদের চাচাতো ভাই) রুকিয়া বেগম. নুরুল হোসেন,দিলওয়ার হোসেন, (শহিদ আহমদের ভাই) আবু তাহির, আহাদ হোসেন,জুয়েল মিয়া, প্রমুখ মঞ্জুরীকৃত অনুদানের টাকা পেয়েছেন। বিশ্বনাথ-ওসমানী নগরের জনমনে একটি গুনঞ্জন ওঠেছে কোন মানদন্ডে একই বৈরাগী গাঁও এত বেশি সংখ্যক লোক অনুদানের টাকা পেলেন। তাছাড়া লোকজন এও বলছেনএমপি সাহেবের আতœীয়স্বজন কোন বিচারে ঐছিক তহবিলর অনুদানের টাকা পেলেন। অনুদান রবাদ্দের নামের তালিকা ও ঠিকানা ধরে বাড়ি বাড়ি গিয়ে অনুসন্ধান করলে আরও নয় ছয়ের দুর্নীতির গঠনা বেরিয়ে আসবে বলে এলাকার জনগন মনে করেন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে গলাবাজি করা একজন এমপি মহোদয়ের নিজেই যদি অর্থ বিতরনে অনিয়ম করেন তাহলে জনগন যাবেন কোথায়।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

shares