করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে হোমিও চিকিৎসা সেবায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন ডা. ইমদাদুল হক

প্রকাশিত: ২:২১ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৪, ২০২০

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে হোমিও চিকিৎসা সেবায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন ডা. ইমদাদুল হক

এম ইজাজুল হক ইজাজঃ
মহামারি করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত গোটা বিশ্ব   বাংলাদেশেও পড়েছে করোনার থাবা। দেশে প্রতিদিনই করোনা কেড়ে নিচ্ছে অর্ধশত মানুষের প্রাণ। শুরুতে করোনা রোগীদের চিকিৎসাসেবা নিয়ে নানা ধরনের অভিযোগ থাকলেও এরই মধ্যে আক্রান্তদের সুস্থ করতে গিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেছেন অনেক চিকিৎসক। স্বাস্থ্যসেবার নানা অপ্রতুলতার মধ্যেও দিনরাত তিনি পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। করোনাকালে মানবসেবায় স্থাপন দৃষ্টান্ত স্থাপন করছন তিনি। এমনই একজন করোনাযোদ্ধা জালালাবাদ হোমিও কলেজ হাসপাতালের ভাইস প্রিন্সিপাল ও সদস্য বাংলাদেশ হোমিও বোর্ড, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের সদস্য ডা. ইমদাদুল হক।
একান্ত সাক্ষাৎকালে সিলেটের নিউজ টুয়েন্টিফোর ডট কম’র সম্পাদক ও দৈনিক যুগভেরীর স্টাফ রিপোর্টার এম ইজাজুল হক ইজাজকে তিনি বলেন হোমিওপ্যাথি রোগের নয়, রোগীর চিকিৎসা করে। রোগ যে নামেই হোক না কেন রোগীর প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষ লক্ষণ সমষ্টিই হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা ব্যবস্থার মূল বিষয়। করোনাভাইরাস অতি ক্ষুদ্র এবং অল্প শক্তিসম্পন্ন একটি ভাইরাস। এই ভাইরাসে আক্রান্ত মানেই মৃত্যু নয়, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আক্রান্ত ব্যক্তির জীবনীশক্তির প্রভাবে জীবাণুটি পরাজিত হয়, ফলে আক্রান্ত ব্যক্তি এমনিতেই ভালো হয়ে যায় কোনো প্রকার ওষুধের ব্যবহার ছাড়াই। মোট কথা- যার ইমিউনিটি বা জীবনীশক্তি বা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি তার এই ভাইরাসে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা একেবারেই কম, যেমন শিশুদের এই ভাইরাসে আক্রান্ত হবার হার একেবারেই কম, কারণ শিশুদের জীবনীশক্তি বা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি।

তিনি বলেন, হোমিওপ্যাথিক ওষুধ কখনই সরাসরি কোনো জীবাণুর বিরুদ্ধে কাজ করে না, সিলেকটিভ হেমিওপ্যাথিক ড্রাগ নির্দিষ্ট রোগীর জীবনীশক্তি বা ইমিউনিটি বা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে ওই রোগীকে সুস্থ করে তোলে- সে যে নামের রোগই হোক না কেন। পৃথিবীতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মহামারিতে হোমিও ওষুধ এভাবেই সফলতা পেয়েছে, তা আজকের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা তথাকথিত শিক্ষিত সমাজ মানুক আর নাই মানুক। এই সময়ে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর লক্ষণ চারটি ধাপে প্রকাশ পাচ্ছে এবং এই চারটি লক্ষণ হোমিওপ্যাথিক ওষুধের সঙ্গে শতভাগ মিলে, ফলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর শতভাগ আরোগ্য সম্ভব এবং এই চ্যালেঞ্জ নিতে আমি প্রস্তুত।

তিনি হোমিও বোর্ডের নির্দেশ মোতাবেক সিলেট হ্যানিম্যান হোমিওপ্যাথি সোসাইটির চিকিৎসকদের নিয়ে শুরু করেন করোনা প্রানঘাতী করোনা ভাইরাস প্রতিরোধকল্পে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বর্তমান করোনা মহামারির আগাম চিকিৎসা, আক্রান্ত ব্যাক্তিকে চিকিৎসার ব্যবস্থা, বিনামূল্যে ঔষধ প্রদান ও করোনার ব্যপারে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের মাধ্যমে পরামর্শ প্রদান করেন। এই হোমিওপ্যাথি ঔষুধটির নাম “আর্সেনিক এ্যালবাম” ইহা করোনা প্রতিশেধক নয়, প্রতিরোধক হিসেবে কার্যকরি। এটা করোনা রুগী ও সর্বসাধারনের প্রাথমিক পর্যায়ে প্রকাশ পাওয়া (কোভিড-১৯) এর লক্ষনগুলোকে দুর্বল করে দেয় ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে যা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকর, যার প্রতিফলন আমরা ইতিমধ্যে পেয়েছি এবং সেজন্য করোনা ভাইরাসকে দুর্বল করতে আমরা জয়ের ব্যপারে সকলেই আশাবাদি ।
বর্তমানে তিনি জালালাবাদ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভাইস প্রিন্সিপাল হিসেবে কর্মরত আছেন। সিলেট নগরীতে মির্জাজাঙ্গাল হোমিও এইড সেন্টার তিনি রোগী দেখেন। হোমিও চিকিৎসার পাশাপাশি তিনি অসংখ্য সামাজিক সংগঠনের দায়িত্ব পালন করছেন এবং একজন সফল রোটারিয়ানও বটে।
চিকিৎসক ইমদাদুল হক বলেন, এর আগে হোমিওপ্যাথির মাধ্যমে ডেঙ্গু রোগের নিয়ন্ত্রণ যেভাবে সম্ভব হয়েছে, বর্তমানে করোনাভাইরাসের নিয়ন্ত্রণও হোমিওপ্যাথিতে সম্ভব।
তিনি বলেন, করোনা রোগের লক্ষণ শুরুর পর থেকে এ যাবত তাঁর নেতৃত্বে হ্যনিম্যান হোমিও সোসাইটির হোমিও চিকিৎসক নেতৃবৃৃন্দদের নিয়ে সিলেট বিভাগে প্রায় ১৫ হাজার রোগীর ফ্রি চিকিসা করেন। এর মধ্যে সরাসরি করোনা উপসর্গ চাঁদপুর জেলার একই পরিবারে বৃদ্ধ লোক মেয়ে করোনায় আক্রান্ত হোমিওপ্যাথি বোর্ডের মাধ্যমে অনলাইনে চিকিৎসা দিয়ে পজেটিভ থেকে নেগেটিভ তারা এখন শতভাগ সুস্থ। এদিকে নগরীর বাদাম বাগিচা লেচুবাগানে বাগানে একই পরিবারে মা-বাবা ও দু শিশু করোরাক্রান্ত শিশুরা সুস্থ হয়ে পজেটিভ থেকে নেগেটিভ মা-বাবা স্স্থু হওয়ার দিকে।

ইমদাদুল হক বলেন, ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ লাইনের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পুলিশ সদস্য হোমিও চিকিৎসা নিয়ে ভাল ফল পেয়েছেন। সম্প্রতি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ডের চেয়ারম্যান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে করোনা প্রতিরোধে হোমিও চিকিৎসা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে হোমিওপ্যাথি ওষুধ ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে ভারতের ‘আয়ুস মন্ত্রণালয়’। আয়ুর্বেদ, ইউনানি, হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বিষয়ক মন্ত্রণালয়টি এক বিবৃতিতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধের উপায় সংক্রান্ত নানা তথ্য প্রকাশ করেছে (খবর হিন্দুস্তান টাইমস)।
তিনি বলেন, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, করোনা মোকাবেলায় উপযুক্ত ঔষুধ তাদের হাতে রয়েছে। ভ্যাকসিন বা অ্যালোপ্যাথি ওষুধ নয়, হোমিওপ্যাথিতেই করোনা প্রতিরোধ করা যাবে। ভারতের আয়ুস মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে টুইট করে জানানো হয়েছে, হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করা যায়। করোনা আক্রান্তের উপসর্গ সারানোর জন্য হোমিওপ্যাথি ওষুধ অত্যন্ত কার্যকর বলে জানানো হয়েছে।
ভারতের নওদার প্রত্যন্ত গ্রাম সর্বাঙ্গপুরে ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ডা. নীলাঞ্জন রায় করোনার রোগীদের হোমিওপ্যাথির চিকিৎসা দিচ্ছেন। স্থানীয়রা বলছেন ‘লকডাউনের জেরে বন্ধ রয়েছে গাড়ি ঘোড়া। হোমিও ডাক্তার হলেও চিকিৎসা পরিসেবা তো মিলছে।’ কিন্তু এই করোনা আবহেও একজন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক দিয়ে হাসপাতাল চলে? এ রকম প্রশ্নে নওদার স্বাস্থ্য আধিকারিক মুকেশ কুমার সিংহ বলেন, ‘জেলায় এমবিবিএস ডাক্তারের বড় অভাব। তাই হোমিও চিকিৎসক দিয়েই গ্রামীণ হাসপাতাল চলছে।’ (সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা)

করোনায় হোমিওপ্যাথির আরও সাফল্য তুলে ধরে ডা. ইমদাদ বলেন, ব্রিটেনের প্রিন্স চার্লস করনোমুক্ত হয়েছেন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায়। প্রিন্স চার্লসের শরীর থেকে করোনার জীবাণু দূর করতে হোমিওপ্যাথিকেই কাজে লাগানো হয়েছিল। ভারতের ব্যাঙ্গালুর বিখ্যাত হোমিও চিকিৎসক ডা. মাথাই। দীর্ঘদিন ধরেই হোমিওপ্যাথি নিয়ে তিনি গবেষণা করে চলেছেন। তার সাফল্য নতুন দিশা দেখাচ্ছে ভারতকে। কোভিড-১৯ মোকাবেলায় এই ওষুধ এবং থেরাপি কাজে লাগিয়ে উপকৃত হওয়া যায় তা পরীক্ষা শুরু হয়েছে ভারতে। কেন্দ্রের নিযুক্ত স্পেশাল টাস্ক ফোর্স ওই চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।

ডা. ইমদাদুল হক বলেন, হোমিওপ্যাথিতে গ্রামগঞ্জে কিছু হাতুড়ে ডাক্তারকে দেখা যায়। লেখাপড়া না জানা ওই সব হাতুরে ডাক্তারদের কারণে অনেকেই হোমিওপ্যাথির ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলছে। আপনারা চিকিৎসা বিজ্ঞান নিয়ে যারা লেখাপড়া করেছেন, এরকম চিকিৎসকের কাছে যাবেন। দেশের প্রতিটি উপজেলায় এখন একাধিক স্নাতক ডিগ্রিধারী চিকিৎসক রয়েছেন। এমননি দেশের অনেক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের এখন সরকারিভাবে হোমিও চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আপনারা কোনো হাতুরে চিকিৎসকের কাছে না গিয়ে অবশ্যই চিকিৎসা বিজ্ঞানে অভিজ্ঞদের কাছে যাবেন, আশা করি ভালো চিকিৎসা পাবেন। হোমিওপ্যাথির প্রতি আপনার আস্থাও আসবে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় আশার আলো দেখছেন হোমিও চিকিৎসকরা। এতে বেশ ভালো ফল পাওয়া যাচ্ছে বলেও দাবি করেছেন তারা। তাদের দাবি, হোমিও ওষুধ সেবনের পর দ্রততম সময়ে অর্ধশতাধিক করোনা রোগী সেরে উঠেছেন।
তার মতে, করোনা রোগীদের যেসব উপসর্গ দেখা যায় তার সব ক’টির সঙ্গেই হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার মিল রয়েছে। তা ছাড়া কয়েকটি হোমিওপ্যাথি ওষুধ সেবনের মাধ্যমে দেহের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বা ইমিউন সিস্টেমও বৃদ্ধি করা যায়। সবচেয়ে বড় কথা, হোমিওপ্যাথির কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। ফলে চিকিৎসায় সুফল না এলেও ক্ষতির আশঙ্কা শূন্য। হোমিওপ্যাথি ওষুধের মূল্যও সাধারণের হাতের নাগালে।

হোমিও চিকিৎসক ইমদাদুল হক জানান, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদনে গত ১৬ মে থেকে পুলিশ হাসপাতালের সাথে জড়িত হয়েছেন। তার দাবি, তিনি করোনার কোনো চিকিৎসা করছেন না তবে প্রতিরোধমূলক ওষুধ দিচ্ছেন, যা তিনি মনে করছেন কার্যকর হচ্ছে। তিনি জানান, এক হাজারের বেশি পুলিশ সদস্যকে প্রতিরোধমূলক ওষুধ দিয়েছেন। তাদের কেউ এখনো করোনা পজেটিভ হননি। আর ৬৫ জন কোভিড-১৯ রোগীকে ওষুধ দিয়েছি, যা সেবন করে ৫৫ জন রোগী তুলনামূলক দ্রততম সময়ে সুস্থ হয়েছেন।
তিনি বলেন, করোনার কোনো নির্ধারিত চিকিৎসা নেই। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রটোকল অনুযায়ী বাংলাদেশে এর চিকিৎসা হচ্ছে এবং অনেকেই সুস্থ হয়ে উঠছেন। হোমিওপ্যাথিক ওষুধ রোগীরা প্রচলিত অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসার পাশাপাশি নিতে পারছেন এবং এর কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। যারা আগ্রহী হন তাদেরকেই আমি ওষুধ দিচ্ছি এবং অনেকেই জানিয়েছেন তারা উপকার পেয়েছেন। যেসব লক্ষণ অর্থাৎ জ্বর, গলাব্যথা, শ্বাসকষ্ট, কাশিÑ এসবের চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথি বাংলাদেশে অনেক আগে থেকেই বেশ জনপ্রিয় বলেও জানান তিনি।
করোনাভাইরাসের উপসর্গ সাধারণ সর্দি-কাশি, জ্বর ও শ্বাসকষ্ট হওয়ায় এসব রোগীর চিকিৎসা দিতে চান হোমিও চিকিৎসকরা। বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া এই মহামারিতে হোমিও চিকিৎসাশাস্ত্র বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রিধারীরা দেশের জন্য এগিয়ে আসতে চান। একাধিক চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে। দেশে প্রায় ২ হাজার গ্র্যাজুয়েট (স্নাতক) সম্পন্ন হোমিও চিকিৎসক রয়েছেন।

করোনার চিকিৎসায় এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। আক্রান্তদের জন্য প্রচলিত চিকিৎসার পাশাপাশি আইসোলেশন (পৃথকীকরণ) ও কোয়ারেন্টিনই (সঙ্গনিরোধ) একমাত্র ভরসা। হোমিও সেবায় কোনো ধরনের পার্শপ্রতিক্রিয়া না থাকায় এটি বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত একটি প্রাচীনতম চিকিৎসা পদ্ধতি। এরই ধারাবাহিকতায় তারা করোনাভাইরাসের উপসর্গ হিসেবে পরিচিত সাধারণ হাঁচি-কাশি, সর্দি-জ্বর, গলাব্যথার মতো সমস্যায় ভোগা রোগীদের প্রয়োজনীয় সেবা দিতে সক্ষম।
ডা. ইমদাদল হক সিলেটের নিউজ টুয়েন্টিফোরকে বলেন, যুগে যুগে মহামারিতে হোমিওপ্যাথি
চিকিৎসা ফলপ্রসু ভূমিকা রেখেছে তাই দেশের এই সংকটকালীন অবস্থায় স্বল্পখরচের হোমিও চিকিৎসাকে কাজে লাগাতে পারলে বিশেষ করে গরিব ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ অনেক উপকৃত হবে। আক্রান্তদর সেবায় দেশের সরকারি-বেসরকারি চিকিৎসকরা দিনরাত পরিশ্রম করছেন। অথচ হোমিওতে ঠান্ডা, জ্বর, কাশির চিকিৎসায় স্বীকৃত আরসেনিক এলবাম থারটি (৩০) নামক মেডিসিনটি বেশ কার্যকরিতা পাওয়া যাচ্ছে এবং ওষুধটি সেবন করে সিজনাল ফ্লু জনিত সমস্যায় ভোগা রোগীদের সুস্থ হওয়ার প্রমাণ মিলছে। তাই হোমিও চিকিৎসকরাও চলমান সংকট মোকাবিলায় ভূমিকা রাখতে আগ্রহী।i

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

shares