জেলার শ্রেষ্ঠ ‘জয়িতা’ পুরস্কার পেলেন ফাইমুন নেছা

প্রকাশিত: ১০:৪৭ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ৯, ২০২২

জেলার শ্রেষ্ঠ ‘জয়িতা’ পুরস্কার পেলেন ফাইমুন নেছা

অসামান্য অবদান রাখায় ‘জয়িতা’ পুরস্কারে ভূষীত হলেন নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের মূর্ত প্রতীক জয়িতারা। ফাইমুন নেছা কেবল নিজেদের অদম্য ইচ্ছাকে সম্বল আর একজন মা তার অধম্য ইচ্ছা ও চেষ্টায় তার সন্তানদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে পারেন, তারই বাস্তব প্রতিফলন ঘটিয়েছেন তার সন্তানদের মধ্যে। একজন সফল জননী একমাত্র কন্যা সকিনা আক্তার ৩৬তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে যোগদান করে বর্তমান সুনামগঞ্জ শান্তিগঞ্জ উপজেলার এসিল্যান্ড হিসেবে কর্মরত আছেন। এক কণ্যা ও দুই পুত্রের জননী ফাইমুন নেছা। বড় ছেলে মোঃ মুজাহিদ ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ও ছোট ছেলে মোঃ বায়েজিদ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ে মেডিকেল সেন্টার দপ্তর স্টোরে অফিসার (ফামাসিস্ট) হিসেবে কর্মরত আছেন। তারই ধারাবাহিকতায় ‘জয়িতা’পুরস্কার পেলেন সফল জননী নারী মোছাঃ ফাইমুন নেছা।

আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ও বেগম রোকেয়া দিবস উদযাপন উপলক্ষে সিলেট জেলায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে পাঁচ জয়িতার হাতে সম্মাননা তুলে দেয়া হয়। জেলা প্রশাসকের আয়োজনে, মহিলা ও শিশুবিষয়ক সংস্থার সহযোগিতায় প্রধান অতিথি হিসেবে পাঁচ জয়িতার হাতে পুরস্কার তুলে দেন জেলা প্রশাসক মজিবর রহমান। জেলা পর্যায়ে সফল জননী নারীর ক্ষেত্রে সাফল্যের জন্য ফাইমুন নেছাকে এই সম্মাননা দেয়া হয়।

ফাইমুন নেছা জৈন্তুপুর উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের। তিনি সাবেক ইউপি সদস্য, রণীফোদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মফিজ আহমদ এর সহধর্মিনী।

জয়িতা হচ্ছে সমাজের সকল বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফল নারীর একটি প্রতিকী নাম। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তৃণমূলের সফল নারী তথা জয়িতাদের অনুপ্রানিত করবে। সমগ্র সমাজ নারী বান্ধব হবে এবং এতে করে সমতাভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণ ত্বরান্বিত করবে। এবারের নারী দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় সবার মাঝে ঐক্য গড়ি, নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধ করি। সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীদের ভূমিকাকে উৎসাহিত ও স্বীকৃতিস্বরূপ এ পুরস্কার দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে ফাইমুন নেছা বলেন, বিভিন্ন প্রতিকূলতাকে পাশ কাটিয়ে নারীদের এগিয়ে যেতে হবে। নারীরা সমাজে পড়ে থাকলে সেই সমাজ কখনই মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে না। সমাজ ও দেশকে এগিয়ে নিতে হলে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাইকে এক হয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। জয়িতা পুরস্কার দেওয়ার কারনে সমাজে নারী-পুরুষ সমানভাবে কাজ করার আগ্রহ বাড়বে। পুরস্কার মানুষকে কাজের উৎসাহ যোগায়। আশা করি এই পুরস্কার আমাকে অনুপ্রেরণা যোগাবে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

shares