ভেঙ্গে ফেলা হল বীরমু্িক্তযোদ্ধা ছিদ্দেক আলী তালুকদা’র নামফলক

প্রকাশিত: ১০:০৮ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ২৮, ২০২২

ভেঙ্গে ফেলা হল বীরমু্িক্তযোদ্ধা ছিদ্দেক আলী তালুকদা’র নামফলক

সিলেট বর্ডার গার্ড পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের গভর্ণিং বডির প্রতিষ্ঠাতা উপদেষ্টা সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সিলেট মহানগর ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ ছিদ্দিক আলী তালুকদারের নামফলক ভেঙ্গে ফেলার অভিযোগ।
ঘটনাটি ঘটেছে রোববার (২৭ মার্চ) দুপুরের সিলেট বর্ডার গার্ড পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের মূল ফটকে। এ নিয়ে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে আখালিয়া এলাকাবাসী মধ্যে। নাম ফলকে লেখা ছিল ছিদ্দিক আলী তালুকদার মেইন গেইট ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির ১৯৯৩ সালের সূচনা লগ্ন থেকেই।
রোববার (২৭ মার্চ) বিকেলে মোহাম্মদ ছিদ্দিক আলী তালুকদার নামফলক ভাঙ্গায় স্মুতিচারণ করে তিনি বলেন, শিক্ষা জাতীয় উন্নয়নের একটি মৌলিক বিষয়, মেরুদন্ড চাবিকাঠি। সিলেটবাসীর কথা চিন্তা করে আমি সে লক্ষে যুক্তরাজ্য থেকে দেশে আসি এবং শিক্ষার মনোনিবেশ করি। গত ১৯৯৩ সালে আমার বাসায় আলী ভবনে এক দাওয়াত অনুষ্ঠানে তৎকালীন সেক্টর কমান্ডার লে. কর্ণেল বজলুল করিম বরাবরে হাইস্কুল প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করি। ২য় মিটিং হয় সেকটর অফিসে স্থানীয় গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গসহ সম্মিলিতভাবে। ৩য় মিটিং হয় সেক্টর রেস্ট হাউজে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযু্িক্ত বিশ^বিদ্যালয়েল তৎকালীন সময়ের ভি.সি ড. সদর উদ্দিন চৌধুরীসহ সবাইকে নিয়ে। স্কুল পরিচালনাকালে এক সময় স্কুলটির আর্থিক সংকটে থাকায় ১৯৯৬ সালে এক সভায় তাহা উল্লেখ করা হয়। তখন আমি মিটিং থেকে বাসায় যাওয়ার অনুমতি চাই। বাসা থেকে ফিরে ১লক্ষ টাকার একটি চেক সেক্টর কমান্ডার লে, কর্ণেল শরীফ অলিউর রহমানের হাতে তুলে দেই। তিনি আমাকে জড়িয়ে ধরেন এবং বলেন কয়জন আপনার মত বড় মনের লোক আছে। পরবর্তীতে কেক্টর কমান্ডার কর্ণেল সাদিক হাসান রুমী স্কুল এমপিও ভূ্িক্তর উদ্যোগ এবং আমার সহযোগিতা চান। তিনি বললেন আমি জানলাম পররাষ্ট্র মন্ত্রী আব্দুস সামাদ আজাদ সাহেব আপনার আতœীয় । আামি সেই সময় ঢাকায় মন্ত্রীর সাথে দেখা করলে মন্ত্রীর পরামর্শক্রমে আমার নিজ খরছ দিয়ে স্কুলটির অনুমোদন করলাম। পরবর্তীতে কর্ণেল মিয়া মশিউজ্জামান পিএসপি ২০০১ সালে সেক্টর কমান্ডার থাকা অবস্থায় ডিজি মহোদয় স্কুল পরিদর্শন করেন এবং গেইট দেয়ার জন্য আমাকে অনুরোধ করেন। আমি গেইট দেয়ার সময় প্রস্তাব করি স্কুলের নামের সাথে পাবলিক শব্দটি যোগ করার জন্য তা পাশ হয়। যা এখনও অব্যাহত আছে কিন্তু অত্যান্ত পরিতাপের বিষয় স্কুলটি করতে আমার অবস্থান থেকে যা করণীয় আমি করলাম আর ২৭ মার্চ গেইটের প্রধান ফটকে আমার নাম ফলক ছিদ্দেক আলী তালুকদার নামে তাহা নাম ফলকটি হাটুড়ি দিয়ে ভেঙ্গে ফেলা হয় । এর কারণ হলো বর্ডার গার্ড স্কুল এন্ড কলেজ এর অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবাদে অভিভাবক ফোরাম গঠিত হয়। অভিভাবক ফোরামের সভাপতি হলেন বীরমুক্তিয্দ্ধোা মোহাম্মদ ছিদ্দেক আলী তালুকদার। স্কুলের অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবাদে অভিভাবক ফোরাম গত ১৫ জানুয়ারী মানবন্ধন প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। তাদের ৭দফা দাবি এর মধ্যে বিভিন্নভাবে বিভিন্ন অযুহাত দেখিয়ে ভর্তিফি বৃদ্ধি তাহা কমানো। মাসিক ভেতন কমানো। বর্ডার গার্ড পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ কর্তূপক্ষ ও অভিভাবক সমন্বয়ে কমিটি গঠন। স্কুলের বা প্রতিষ্ঠানের সার্বিক উন্নয়ন কাজের জন্য প্রতিষ্ঠান ও অভিভাবক এর সমন্বয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া। সরকারি শিক্ষানীতি মালা যথাযথ ভাবে পালন করা এবং শিক্ষা নীতি মালার বাহিরে না যাওয়া। দেশে আবার কোভিড-১৯ এর মতো মহামারী দেখা দিলে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হলে বেতন অর্ধেক করা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কোন প্রকার সিদ্ধান্ত নিলে অভিভাবক ফোরাম ও প্রতিষ্ঠান মিলে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া। এ ব্যাপারে হাইকোর্টে মামলা হয়েছে মামলার রায় অভিভাবক ফোরাম পেয়েছে। মোহাম্মদ ছিদ্দেক আলী তালুকদার দাবি করেন অভিভাবক ফোরামের সভাপতি হয়ে স্কুলের অনিয়মের প্রতিবাদ করায় আমার নামে নাম ফলকটি ভেঙ্গে দেয়া হয়। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই বর্তমান কমান্ডারের নির্দেশে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটানো হয়েছে। আমি বিষয়টি সর্বমহলে সহযোগিতা কামনা করি।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

shares