লন্ডন প্রবাসী আব্দুল মতিনের ছেলে হাফিজ মোঃ শাহজাদা’র বিয়ের প্রতারনায় স্বীকার এক সম্ভ্রান্ত পরিবারের

প্রকাশিত: ৯:৪৬ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২২

লন্ডন প্রবাসী আব্দুল মতিনের ছেলে হাফিজ মোঃ শাহজাদা’র বিয়ের  প্রতারনায় স্বীকার এক  সম্ভ্রান্ত পরিবারের

লন্ডন প্রবাসী জগন্নাথপুরের ছিরামশি টাওয়ার হ্যামলেটস এর সাবেক কাউন্সিলর আব্দুল মতিনের ছেলে আব্দুল হাফিজ মোঃ শাহজাদা এর বিয়ের প্রতারণার স্বীকার সিলেট নগরীর সাদিপুর আবাসিক এলাকার বসবাসকারী হাফেজ মাওলানা শফিকুল ইসলাম এর মেয়ে মাহি নামে এক তরুণীর। জানা যায়, গত ১৩/০৩/ ২০২০ ইং তারিখে লন্ডন প্রবাসী হাফিজ মোঃ শাহজাদার সাথে মাহির বিয়ে হয়।
নির্যাতিত নববধূ মাহি জানান বিয়ের ৭দিন পর লন্ডন চলে যায় হাফিজ মোঃ শাহজাদা। বিয়ের পরপরই বিশ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করেন। মাহিকে বিশ লক্ষ টাকা পিতার কাছ না দিলে বিয়ের সংসার করিতে পারিবেনা বলে এবং বলে আমি তোমাকে ফেলে লন্ডন চলে যাব তুমাকে নিয়ে সংসার করিতে পারিব না। মাহি পিত্রালয় হইতে টাকা আনিয়া দিতে অস্বীকার করিলে হাফিজ মোঃ শাহজাদা মাহিকে শারীরিক ও মানসকি নির্যাতন করে। এমতাবস্তায় মাহির স্বামী কাউকে না জানিয়ে লন্ডন চলে যায়। লন্ডন যাওয়ার কিছুদিন পর আবারও মোবাইলে মাহিকে জানায় বিশ লক্ষ টাকা প্রদান করিলে লন্ডনে নেওয়ার ব্যবস্থা করিবে। মাহি তার স্মামীকে বলে আমার পিতার পক্ষে এত টাকা দেয়া সম্ভব নয় জানাইলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করে। মাহির পিতা শফিকুল ইসলাম পরবর্তী সময়ে আত্মীয়স্বজন ও স্থানীয়দের মধ্যস্থতায় শালিশ মাধ্যমে মীমাংসা করিতে চাইলে বর পক্ষের লোক শাহজাহান আলী, বিল্লাল মিয়া, আব্দুর রহমান, লন্ডন থেকে হাফিজ মোঃ শাহজাদার নির্দেশে ওরা ৩জন আসে। মাহির স্বামী শাহজাদার কথামত হুকুম করে যে বিশ লক্ষ টাকার মাঝে ১০ লক্ষ টাকা মাহির পিতা ব্যবস্থা করার তাগিদ দেয় তাহলে নাকি মাহি কে লন্ডন যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিবে। মাহি তার স্বামীর সাথে লন্ডন ফোনে কথা বলতে চাহিলে শাহজাহান আলী মাহিকে লাথি মারে, বিলাল মিয়া ঘুষি মারে ও আব্দুর রহমান গালিগালাজ করে। ধাক্ষা মেরে ফেলে দেয় এবং বলে টাকা দেওয়ার মুরদ নাই আবার লন্ডনী স্বামীর সাথে সংসার করিবে এই বলে ওরা তিনজন মাহিকে উপর্যপরি লাথি কিল ঘুষি মারিতে থাকে। বিবাহ অল্প দিনের বিবাহিত জীবনে নানারকম অত্যাচার, অপমান আর মানসিক-শারীরিক নির্যাতনে কেটেছে তার দিনগুলো। বের হয়ে আসে লন্ডন প্রবাসী শাহজাদার আসল চেহারা। নানা অজুহাতে যৌতুকের ২০ লাখ টাকা চেয়ে শাহজাদা স্ত্রীর ওপর মোবাইল ফোনে চালান শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন।
মাহির পিতা হাফেজ মাওলানা শফিকুল ইসলাম জানান, বিয়ের পরে প্রায় ৬/৭ মাস মাহির শশুর লন্ডন প্রবাসী আব্দুল মতিন আমার বাসায় ছিল এমনকি নগদ টাকা পয়সা যে সময় চাইছেন আমি তাহা দেই। এখন অনেকদিন হয়ে গেল আমার সাথে যোগাযোগ নেই যোগাযোগ করিতে চাইলে বা আমার মেয়ের বিয়ের সম্পর্কে জানতে চাইলে এড়িয়ে চলেন। তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন আব্দুল মতিনের প্রতারনায় স্বীকার ৪ পরিবার প্রতারণার ফাঁদে পা দিয়ে নিঃস্ব।
এ ঘটনায় নির্যাতিত নববধূ মাহি শাহপরাণ থানায় পেশকৃত ফৌজদারী ১৫৪ ধারায় মামলা করিলে শাহজাহান আলী ও ২নং আসামী বিল্লাল মিয়া গ্রেফতার হয়ে জেল হাজতে আছে। ৩ নং আসামী আব্দুর রহমান পলাতক এবং ৪নং আসামী মাহির স্বামী লন্ডনে অবস্থান করছেন।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

shares