লন্ডন-সিলেট সরাসরি ফ্লাইট প্রবাসীদের দাবির প্রতি সংহতি জানালেন লন্ডন প্রবাসী এম এ কুদ্দুস

প্রকাশিত: ১২:১১ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ৩১, ২০২০

লন্ডন-সিলেট সরাসরি ফ্লাইট প্রবাসীদের দাবির প্রতি সংহতি জানালেন লন্ডন প্রবাসী এম এ কুদ্দুস

সিলেটের নিউজ টুয়েন্টিফোর ডট কমঃ
সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে লন্ডন-সিলেট সরাসরি ফ্লাইট বন্ধ ঘোষণা করার ঘটনায় ক্ষুব্ধ সেখানকার ব্রিটিশ-বাংলাদেশিরা। অবিলম্বে এই ফ্লাইট আবার চালু করার দাবি তুলেছেন বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতারা। এর ধারাবাহিকতায় লন্ডন প্রবাসী বিশিষ্ট লেখক ও রাজীনীতিবিদ এম এ কুদ্দুস সেই দাবির প্রতি সংহতি জানিয়ে সোমবার বাংলাদেশের গণমাধ্যম ও সিলেট বাংলা টিভি অনলাইনসহ বিভিন্ন নিউজ পোর্টালে ঝড় তুলেন। এক ব্যাপারে পর্যায়ে তিনি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন। শিগগির এই সংকটের সমাধান হবে বলে আশাবাদী তিনি । এর প্রতিবাদ সুফল আসে।
গত ১৬ জুলাই বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে লন্ডন-সিলেট সরাসরি ফ্লাইট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়। ২৬ জুলাই থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে। ওইদিন থেকেই যুক্তরাজ্যের কোনও বিমান আর সরাসরি সিলেট যাচ্ছে না। লন্ডনফেরতদের মধ্যে যাদের চূড়ান্ত গন্তব্য সিলেট, তাদেরকে ঢাকা থেকেই লাগেজ সংগ্রহ করতে হচ্ছে। ঢাকায় ইমিগ্রেশন সম্পন্ন হওয়ার পর তাদের ডমেস্টিক ফ্লাইটে সিলেটে পাঠানো হচ্ছে। এমন সিদ্ধান্তের কারণে বিড়ম্বনায় পড়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বৃটিশ নাগরিকরা। তার আশা, শিগগির লন্ডন-সিলেট ফ্লাইট নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার অবসান হবে। এম এ কুদ্দুস আরও বলেন, এখানকার প্রবাসী বাংলাদেশীদের সমস্যাগুলোকে আমরা নিজের সমস্যা হিসেবেই দেখি। তিনি কমিউনিটির পাশে আছেন, ভবিষ্যতেও থাকবেন। লাইভ অনুষ্ঠানে পৃথক পৃথকভাবে সংযুক্ত হন সিলেট বাংলা টিভির সম্পাদক কাউসার আহমদ।
এমএ কুদ্দুস আরোও বলেন প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেট অঞ্চলের যুক্তরাজ্য প্রবাসী ও আমাদের দাবীর প্রেক্ষিতে যুক্তরাজ্য থেকে সিলেট ওসমানী বিমান বন্দর ফ্লাইট শুরু হয়।
সরাসরি ফ্লাইট চালু থাকার কারণে যুক্তরাজ্যে বসবাসরত সিলেটের প্রবাসীদের যাতায়াতের সুবিধা হয়। সিলেটের হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাসহ অন্যান্য ব্যবসায়ীরা লাভবান হয়। বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবরে কারণে বিমান চলাচল বন্ধ ছিল। অতিসম্প্রতি বিভিন্ন দেশের সাথে বিমান চলাচল শুরু হয় কিন্তু দুঃখের বিষয় একটি স্বার্থান্বেষী মহল বিভিন্ন সময়ের সিলেট-লন্ডন-সিলেট সরাসরি ফ্লাইট বন্ধের চক্রান্ত করে আসছে এরাই হঠাৎ করে সিলেট-লন্ডন-সিলেট ফ্লাইটটি কোন প্রকার ঘোষণা ছাড়া বাতিল করে লন্ডন-ঢাকা ফ্লাইট চালু করা হয়। অতীতে বিভিন্ন সময় সিলেট অঞ্চলে প্রবাসীদের প্রতি বিমাতাসূলভ আচরণ করা হয়। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে এমনিতেই ব্যবসা-বাণিজ্য নেই তার উপর সিলেট-লন্ডন-সিলেট সরাসরি ফ্লাইট বন্ধ হওয়ার কারণে এর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা চরম ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।

সিলেট অঞ্চলের যুক্তরাজ্য প্রবাসীদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ থেকে শুরু করে আজ অবধি দেশের বিভিন্ন সমস্যায় সহযোগিতা করে যাচ্ছেন, কিন্তু দীর্ঘ ১৪ বৎসর হয় ওসমানী বিমান বন্দর আন্তর্জাতিক ঘোষণার পরও একটি কুচক্রী মহল তাদের অর্থনৈতিক ফায়দা হাসিলের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে সিলেটি যাত্রীদের ঢাকা হয়ে যাওয়া, আসা করায় এবং হোটেল, আপ্যায়ন সহ বিভিন্ন কার্যাদিতে অর্থনৈতিক ফায়দা হাসিল করে। যুক্তরাজ্য প্রবাসীদের ঢাকা হয়ে আসা-যাওয়া করতে বিভিন্ন ধরনের হয়রানীর শিকার হয়ে থাকেন। এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত সিদ্ধান্তে যুক্তরাজ্য প্রবাসী সহ সিলেট অঞ্চলের ব্যবসায়ী ও সাধারণ জনগণ ক্ষুব্ধ। ফ্লাইট সমস্যা সমাধান না হলে সিলেট অঞ্চলের জনসাধারণ ও প্রবাসীরা বৃহত্তর কর্মসূচী গ্রহণ করতে বাধ্য হবে। পুনরায় চালু হচ্ছে লন্ডন-সিলেট-লন্ডন সরাসরি ফ্লাইট। ৩০ জুলাই এ তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য ড. একে আব্দুল মোমেন। তিনি এও জানান, আজ এক সভায় লন্ডন-সিলেট সরাসরি বিমানের ফ্লাইটটি আবার চালু করার নেওয়া হয়েছে সিদ্ধান্ত। মন্ত্রী বলেন, সিলেটে কোয়ারেন্টাইন সুবিধা চেয়েছিল বিমান, সেই ব্যবস্থা করেছি আমরা। এছাড়া যে সমস্ত যাত্রীদের কোভিড-১৯ এর নেগেটিভ সার্টিফিকেট থাকবে, কেবল তারাই হোম কোয়ারেন্টাইনে যেতে পারবেন। যাদের এ সার্টিফিকেট থাকবে না প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টাইন প্রেরণ করা হবে তাদেরকে। উল্লেখ্য, ২৫ জুলাই বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্স জানিয়ে ছিলো, বিমানে যারা লন্ডন থেকে সিলেট আসবেন ঢাকায় ইমিগ্রেশন করে সেখানেই তাদের ব্যাগেজ ক্লেইম করতে হবে তাদেরকে এবং ঢাকা থেকে আবার নতুন করে বডিং পাস নিয়ে আসতে হবে সিলেটে। এ খবরে লন্ডন প্রবাসীদের মধ্যে সৃষ্টি হয় ব্যাপক প্রতিক্রিয়া। যুক্তরাজ্য প্রবাসীদের সুবিধার্থে জরুরী ভিত্তিতে সিলেট-লন্ডন-সিলেট সরাসরি ফ্লাইট এর ব্যবস্থা গ্রহণে পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রতি সুদৃষ্টি কৃতজ্ঞতা জানান এম এ কুদ্দুস।

 

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

shares