“সিলেট আ’লীগ নেতার হাতে লাঞ্চিত বিউবো উপ-পরিচালক” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

প্রকাশিত: ৫:৪৭ অপরাহ্ণ, মে ২৩, ২০২১

“সিলেট আ’লীগ নেতার হাতে লাঞ্চিত বিউবো উপ-পরিচালক” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

সিলেটের নিউজ টয়েন্টিফোরঃ
বিউবো বোর্ডে ২০১০ইং সনে সিবিএ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন জাতীয় বিদ্যুৎ শ্রমিক লীগ বিপুল ভোটে বিজয় লাভ করে। বিধি মোতাবেক ২ বৎসর পর পর কেন্দ্রীয় কমিটি ও সিবিএ নির্বাচন হওয়ায় কথা থাকলেও অদ্যবধি নির্বাচন হয় নাই। নিউজটি চাপা হয়।
আলাপ আলোচনায় সকল চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় একপক্ষ আদালতের স্মরনাপন্ন হয়ে আদালত কিছু দিন পূর্বে সর্বশেষ ৯০ দিনের মধ্যে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিনিধি নির্বাচন করার রায় দেন। বিউবো বোর্ডের শ্রমিক-কর্মচারীরা নির্যাতনের জন্য সকল পর্যায়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন এর মধ্যে বিদ্যুত ভবন বাগবাড়ী নীচ তলায় দির্ঘদিনের সিবিত্র কার্যালয়ের তলা সরিয়ে নতুন ১টি তালা লাগিয়ে দেন জনৈক আ. জলিল সহকারী হিসাব রক্ষক আঞ্চলিক হিসাব দপ্তর বিদ্যুত ভবন ৩য় তলা। বিশ^স্থ সূত্রে খরচ শুনে অন্যান্য শ্রমিক নেতৃবৃন্দ প্রধান প্রকৌশলী বিতরণ অঞ্চল বিউবো বাগবাড়ী ২য় তলা মহোদয়কে বিষয়টির অবহিত করেন ও মিমাংসার অনুরোধ জানান। আব্দুল জলিল গং নির্বাচন না করে ক্ষমতা কু….. করে ব্যাক্তি স্বার্থ চরিথার্ত করতে চায়। অন্যদিকে বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলের ৯৮% ভাগ শ্রমিক-কর্মচারীরা নির্বাচন চায়। তালা বদলের ঘটনায় শ্রমিক-কর্মচারীদের মধ্যে চরম অসন্তর বিরাজ করলেও চিটি শৃঙ্খলার সাথে মিমাংসা করে হবে বলে নেতৃবৃন্দ আশ^াস্ত করে পরের দিন নেতৃবৃন্দ প্রধান প্রকৌশলী মহোদয়ের সাথে দেখা করতে গেলে জানা যায় প্রধান প্রকৌশলী মহোদয়ের নির্দেশে ঐ দিন সকালে জনৈক আব্দুল জলিল প্রধান প্রকৌশলী মহোদয়ের কাছে নতুন তালার চাবি হস্থান্তর করেছেন। নেতৃবৃন্দ যথারিতি অনুমতি সাপেক্ষে মহোদয়ের কক্ষে প্রবেশ করেন কুশলাদি বিনিময় করে দেখা যায় পূর্ব থেকেই মো. জুবের খান সাহেব জাতীয় বিদ্যুত শ্রমিক লীগ বি-১৯০২ এর সিলেটের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক ও পরে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে মহানগর আওয়ামী লীগ সিলেট মহানগর এর মুক্তিযোদ্ধা সম্পাদক জুবের খান। সহকারী পরিচালক মো. রুহুল আমিন দায়িত্বে আসেন, উপ-পরিচালক প্রশসন প্রধান প্রকৌশলী মহোদয় সিবিত্র নেতৃবৃন্দকে রাজস্ব সংকট ব্যাপারে অবহিত করেন এবং নেতৃবৃন্দকে আরো সহ-যোগীতার জন্য আহ্বান জানান। নেতৃবৃন্দ কে সহযোগীতার জন্য আশ^স্থ করেন। এক পর্যায়ে চাবির ব্যপারে প্রধান প্রকৌশলী মহোদয়কে জানতে চাওয়া হয়। ঠিক তখনই মো. রুহুল আমিন কথা বলতে শুরু করেন এবং উচ্চস্বরে কিসের চাবি, কেন দেবো ইত্যাদি বলতে বলতে আপনার নির্বাচিত হয়ে আসেন। এরপর যারা পাশ করবেন তাদের কাছে হয়তো চাবি দেওয়া হবে। এখন চাবি আমাদের কাছে থাকবে। নেতৃবৃন্দ বললেন আমাদেরকে ১ টা চাবি দেন, আর অন্য ১টি জলিলকে দিন। তখন ডিডি জলিলকে ফোন দেন। জলিল সাহেব বলেন তিনি বাসায় খাইতে গেছেন আসতে দেরী হবে। তখন ডিডি সাহেব বলেন উনারাতো চাবি নিতে আসছেন আপনি আসেন জলিল বলে আসতে দেরী হবে। এইমাত্র এসেছি তখন ডিডি বলেন আপনি ফোনেই কথা বলেন আমি লাউড স্পিকারে দিয়েছে জলিল বলেন আপনারা যা ভালো মনে করেন। এই অবস্থায় খাওয়ার জন্য ডিডি পরে প্রধান প্রকৌশলী মহোদয় খাওয়াতে চলে যান ফিরে আসছি বলেন। প্রধান প্রকৌশলী তেমন কোন কথাই বলেননি ডিডি আংগুন নাড়িয়ে দাড়িয়ে উচ্চস্বরে নেতৃবৃন্দকে হেসস্তা করতে দিলেন। কথা কাটাকাটি দরকষাকষি হয়েছে। এক পর্যায়ে প্রধান প্রকৌশলী মাহোদয় বলেন দুই পক্ষকে ২ টা চাবি দিয়ে দেন। প্রধান প্রকৌশলী মহোদয় এই মর্মে ডিডি সাহেবকে বলেন উনাদের ১টা চাবি দেন অন্যটি জলিলকে পরে দিয়ে দিয়েন। নেতৃবৃন্দ ডিডি এবং প্রধান প্রকৌশলীকে সমাপনি বক্তব্য রাখার অনুরোধ করলে ডিডি সাহেব এবং প্রধান প্রকৌশলী মহোদয় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না করে প্রশাসনের কাছে মিমাংসার জন্য বলায় নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জানান এবং পরবর্তিতে সকল ধরনের ঝামেলামুক্ত রাখার আহ্বান জানিয়ে চাবি প্রদান করেন। নেতৃবৃন্দ চাবি নিয়ে সিবিত্র অফিস খুলে বসেন এবং নিম্নোমধ্যে মতবিনিময় করে চলে যান। এরই জের ধরে গত দৈনিক যুগান্তর বিভিন্ন পত্রিকাসহ ২১.০৫.২০২১ইং শুক্রবার নিউজটি চাপা হয় যাহা মিথ্যা বানোয়াট।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

shares