Update Chrome Browser
ঢাকা ৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৭শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
প্রকাশিত: ৪:৫৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৬, ২০২০
এম ইজাজুল হক ইজাজঃ
মানুষ মানুষের জন্য-এ প্রতিপ্রাদ্য বিষয়কে মনে রেখে মানবতার কল্যাণের সেবায় নিয়োজিত এমন একজন মহৎ মনের মানুষ। যার নাম বললে নই। নির্লোভ, সাধারণ সেচ্ছাসেবী হিসেবে যিনি অক্লান্ত পরিশ্রম দিয়ে প্রতিনিয়ত মানব সেবায় আত্মপ্রাণ নিবেদন করে যাচ্ছেন। বিশিষ্ট সংগঠক ও সমাজসেবক হিসেবে বিনা পরসায় মানবতার ফেরীওয়ালার এক অনন্য দৃষ্টান্ত যার নাম হল একজন সুচিন্তি লেখক জালালাবাদ থানা আওয়ামীলীগের প্রধান উপদেস্টা বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট লয়লা হাফিজিয়া মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও লয়লা হেলপ অর্গানাইজেন এর চেয়ারম্যান এবং যুক্তরাজ্য প্রবাসী এম এ কুদ্দুস। এছাড়াও তিনি দেশ বিদেশে অসংখ্য সামাজিক সংগঠনের দায়িত্ব পালর করে যাচ্ছেন।
তিনি মার্চের শুরুতে যুক্তরাজ্য থেকে দেশে আসেন। এসময় করোন প্রাদূর্ভাব দেখা দেয়। নিজের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে লকডাউনে তাঁর জন্মভূমি বিয়ানীবাজার উপজেলা চারখাই ইউনিয়নের আদিনাবাদে এবং নগরীর আখালিয়া নেহারীপাড়ায় অসহায় মানুষের পাশে থেকে খাদ্য সামগ্রী নগদ অর্থ নিজেকে সুরক্ষিত রাখার জন্য মাস্ক স্যানিটাইজার ওষধ এবং সাংবাদিক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে পারসোনাল প্রটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) প্রদান করেন।
পৃথিবীতে সমাজকর্মী হিসেবে নিরব নীভৃতে বিভিন্ন অবস্থানে মানবতার কল্যানে কাজ করেছেন এবং করছেন ইতিহাসে বিরল। জনহিতকর কাজের জন্য তিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। আর এ ধারাবাহিকতা রক্ষার্থে সমাজ সেবায় কাজ করছে জানা অজানা অন্যতম একজন সমাজকর্মী হিসেবে মানবতার কল্যাণে কাজ করে আসছেন এম এ কুদ্দুস। যিনি কোনো বিনিময় ছাড়া দেশ ও সমাজ বিনির্মানে সুন্দর ও সুশীল গড়ার লক্ষ্যে একজন সমাজকর্মী হিসেবে নির্লোভী ও নৈতিকভাবে বলিষ্ঠ হয়ে সমাজ থেকে কিছু পাওয়ার চেয়ে সমাজকে কিছু দেওয়ার মানসিকতা সৃষ্টায়নের মাধ্যমে পরের কল্যাণে নিজেকে সদা বিলিয়ে দেওয়ার মানসিকতা, চরম ধৈর্য্যশীল, রাজনৈতিক ও সম্পূর্ণ সার্বজনিন কাজে নিজের আত্মপ্রান নিবেদনকরে যাচ্ছেন সমাজের প্রতি যার স্বাভাবিক দায়িত্ববোধজ্ঞান সমাজ ও জনগোষ্ঠী সম্পর্কে তার গভীর অভিজ্ঞতা ও পর্যবেক্ষন আলোকে সমাজকে সুন্দর করার চিন্তা যার অবধি লেগে থাকে। বিভিন্ন সমাজ, জনগোষ্ঠী ও সামাজিক অগ্রগতি সম্পর্কে সাধারন ধারণা করে ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণের মানসিকতা অর্জনে যার সাফল্য চারিদিক আজ আলো ছাড়িয়ে। তার কাছে অর্থোপার্জনের চেয়ে সমাজ ও মানুষের কল্যাণ সাধন বড়, সকল শ্রেণীর মানুষের প্রতি তার শ্রদ্ধাশীল এবং যেকোন মানুষের সঙ্গে স্বাচ্ছন্দভাবে মিশে থেকে, কথার চেয়ে কাজকে বড় ভেবে এগিয়ে চলার মাঝে থাকে দৃঢ় প্রত্যয়। এছাড়া নিঃস্বার্থ ভাবে সমাজকর্মে এগিয়ে আসার মন মানসিকতা সবার হয়ে উঠে না। সমাজকর্ম কেবল সম্মানই এনে দেয় না, অনেক লাঞ্ছনাও উপহার দেয়। সমাজকর্মীকে নানা প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে হয় এবং তাকে সেজন্য মানসিকভাবে সর্বদা প্রন্তুত থাকতে হয়। সুচিন্তিত সমাজকর্মী হওয়ার প্রথম ও প্রধান শর্ত মানুষের কল্যাণে কাজ করার ঐকান্তিক ইচ্ছা পোষন যেন এক উদার মনের পরিচয়। এই ইচ্ছা করাটা সবার পক্ষেই সম্ভবপর হয় না। যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী মানুষের কল্যাণে কিছু কাজ করা প্রত্যেকের নৈতিক দায়িত্ব। মানুষ হিসেবে মানুষের কল্যাণে কাজ করা প্রকৃত মানুষের কাজ। আর এ কাজ করলেই কেবল মানুষ শ্রেষ্ঠত্বের দাবি করতে পারে, নতুবা সমাজকর্মীদের মূল লক্ষ্য ও উদ্দ্যেশ্য হচ্ছে, মহান সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যমে পরকালিন শান্তি। কিন্তু সমাজকর্মী হিসেবে সবচেয়ে বড় পাওনা অর্থাৎ চাহিদা হচ্ছে, শান্তিতে বসবাসযোগ্য একটি সৌহার্দ্যপূর্ণ ও ভ্রাতৃত্ববোধক উন্নয়নমূখী সমাজ নির্মানে নিরলস ভাবে কাজ করা। সমাজ উন্নয়নে দেশ ও জাতির জন্য কিছু এবং মরণের মাঝে বেঁচে থাকার মাঝে সমাজ উন্নয়নে ভূমিকা রাখার তাগিদে আত্মমানবতার সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দিতে তিনি বিন্দুমাত্র কুন্ঠাবোধ করেন না।এই যেন এক সাহচার্য নবদল উদ্যোগের প্রতিভা।অন্ধকার দূর করে আলোর দিকে সমাজকে প্রতিস্থাপনের উদ্দেশ্যে লক্ষ্য নির্ধারণ,সমস্যা চিহ্নিত করা,অভিজ্ঞতা ও অধ্যয়ন দ্বারা পরিস্থিতি বিশ্লেষণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ,সিদ্ধান্ত যাচাই,প্রয়োগ,ফলাফল মূল্যায়ন ও পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যনে সৃজনশীলতার পরিচয়ে বিচক্ষণভাবে সমাজ সেবার মাধ্যমে মানবতার কল্যানে নিদারুণ ভাবে কার্যাদি সম্পন্ন করে থাকেন।এই উৎসাহ মানব সমাজে তরূন তরুণীদের জন্য এক অনন্য প্রতিভা বিকাশ।আমাদের দেশে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্যে হল,মানব সেবায় স্ব স্ব সম্মতিতে মানবপ্রেমে আত্মপ্রান নিবেদনে সামাজিক সংগঠনে কর্মকান্ডে নিয়োজিত হয়ে সরকার বিধিবদ্ধ আইন মোতাবেক নিবন্ধিত হওয়া।প্রতিশ্রুতিবদ্ধ নিবন্ধনে সামাজিক শান্তিপ্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বড় অন্তরায় এবংস্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মকান্ড সঞ্চালন, প্রসারণ ও বিস্তার লাভে”ক্ষুদ্রস্বপ্ন” সামাজিক সংগঠন প্রতিষ্ঠিত করেন। যার প্রতিষ্ঠাতা হলেন এম এ কুদ্দুস নামের এই মহৎব্যক্তি। সাংগঠনিক ভাবে কাজ করা হয় বলে অন্যের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে কারো মতকে তুচ্ছ বলে গণ্য না করে সার্বিক পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত গ্রহণে সামাজিক সংগঠনের কার্যাবলী সম্পাদন করে থাকেন।এছাড়া আর্থিক ভাবে বিভিন্ন সংগঠনকে সহায়তা প্রদান করেন। যেন সামাজিক সংগঠনের কার্যাবলী অব্যাহত থাকে।সমাজ সংস্কারণ ও সমাজ উন্নয়নে অবদান রাখা ইবাদতেরই অংশ। সমাজ উন্নয়নের নিমিত্তে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মানবাধিকার আদর্শ মানবতাবাদী ও সমাজকর্মী হিসেবে আত্মনিয়োগ করে জনহিতকর কর্ম সম্পাদনের জন্য নাগরিক দায়িত্ববোধ জাগ্রত করার উদ্দেশ্যে, সামাজিক ভিক্ষুক ও দৈহিক অসামর্থ্য ব্যক্তিদের কল্যান,পথশিশুদের কল্যান, আর্থিক ও অনার্থিক ভাবে সম্পন্ন করে থাকেন। মানবতার ফেরিওয়ালা হিসেবে তিনি যেন এক মহানুভবতার অধ্যায় হিসেবে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। দেশ, জাতি ও সমাজ স্বার্থে একজন নির্লোভী আদর্শ রাজনিতিবিদ হিসেবে তিনি সত্তর দশক ছাত্রলীগের দিয়ে রাজনীতি শুরু করেন মুজিবলীগের দায়িত্ব পালনে যার রয়েছে অধিক শ্রম, নিরলস চেষ্টা, অদম্য সাহসিকতা, দেশের তরে জিবন বাজি রেখে যার প্রতিটি পথচলা পদক্ষেপ থাকে দূর থেকে দূরান্তর। জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন, সমাজ সেবার অন্যতম কর্তব্য হিসেবে দেশের এক দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে যার সর্বদা নিজের আত্মপ্রাণ নিবেদন থাকে সচেষ্ট। সৌন্দর্য সাধনই মানবতার মহান কাজ।
আর এই সৌন্দর্যের পথ ধরে একটি সুশীল সমাজ গড়ার লক্ষ্যে নিবেদিত প্রাণের আতœনির্ভরশীলরুপে কাজ করে যাচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবী হয়ে।প্রতিটি কর্ম স্বেচ্ছায় নির্ভীক ও নিরলস ভাবে করে যাচ্ছেন বলে নব তরুণ দল এতে উদ্ভুদ্ধ হয়ে প্রণোদনার মাঝে স্বর্ণজ্জ্বোল সম্পূর্ণ সমাজ বিনির্মাণে উৎসাহী হচ্ছে। যার ফলে স্বেচ্ছাসেবী নিরলস প্রাণের দ্বারা প্রসারিত হচ্ছে মানবসেবা। মানবসেবার তাগিদে দূরদৃষ্টিসম্পন্ন, উদার মনোচিত্তের অধিকারী এম এ কুদ্দুসের মত মহৎ মানুষের ব্যক্তিত্ব শুধুমাত্র ছোট ছোট অসহায় অনাহারে পড়ে থাকা মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে বেঁচে থাকার স্বপ্ন সাজায় না বরং একটি সুন্দর সাবলীলভাবে বেঁচে থাকার স্বপ্নের মাঝে আলোকিত জীবন ও দেশ গঠনের নিমিত্তে সাফল্য শীর্ষে অন্য এক অমূল্য অবদান রাখে। যা স্মৃতির স্বর্ণাক্ষরে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের যেন এ অনন্য অনুপ্রেরণা। দোয়া করি আল্লাহ পাক রাব্বুল আল আমীনের কাছে এমন গুনে গুনম্বিত সমাজ সেবাকর্মী যেন সুস্থতা সহিত মানব সেবার তরে দীর্ঘজীবী হয় ।
চেয়ারম্যানঃ নারী নেত্রী বিলকিছ নূর
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ এম ইজাজুল হক ইজাজ
অফিসঃ বালুচর সিলেট
ই-মেইল ezazjournalist@gmail.com
ezazulpress@gmail.com
Mobil. 01712873715
Design and developed by AshrafTech