কীর্তনের নামে অপসংস্কৃতির ধারক বাহক অপকীর্তনীয় সুষেন বৈদে|র বিরুদ্ধে প্রশাসনের বরাবর অভিয়োগ

প্রকাশিত: ৬:৪১ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৯, ২০২৩

কীর্তনের নামে  অপসংস্কৃতির ধারক বাহক অপকীর্তনীয় সুষেন বৈদে|র বিরুদ্ধে প্রশাসনের বরাবর অভিয়োগ

সিলেটের নিউজ টুয়েন্টিফোরঃ
কীর্তনের নমে অপসংস্কৃতির ধারক বাহক ও বিতর্কিত সুষেন বৈদ্য’র বিরুদ্ধে সিলেট রেঞ্জ ডিআইজি ও এসএমপি পুলিশ কমিশনার, মৌলভীবাজার পুলিশ কমিশনার, ও রাজনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সনাতন সম্প্রদায় তথ্য সনাতনী জাগ্রত যুব সংঘের সভাপতি জয়ন্ত কুমার দাস।। বিভিন্ন সুত্রে জানা যায়, অপকীর্তনীয় সুমেন বৈদ্য ১৫ থেকে বিশ বছর যাবৎ প্রতিবছর ৫০ থেকে ৬০ লক্ষ টাকা কালেকশন করে নিজের পকেট ভারী করেন।
তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেন, কীর্তনিয়া সুষেন বৈদ্য জন্ম সূত্রে একজন বাংলাদেশী। তিনি মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার চকাপন গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ভারতে বসবাস করেন বছরে ৬ মাস এবং বাংলাদেশে বসবাস করেন ৬ মাস। হিন্দু সম্প্রদায়ের কীর্তন গুলো সাধারনত কার্তিক মাস হইতে ফাল্গুন মাস।

পর্যন্ত চলমান থাকে এবং এই ৫-৬ মাস তিনি বাংলাদেশে (সিলেট শহরের হালদার ও মির্জাজাঙ্গাল) বসবাস করেন। প্রতিটি কীর্তনে তিনি এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা ডিমান্ড করেন, তাহার যোগাযোগ নাম্বার:- বাংলাদেশ- ০১৭২৩৬৬১৬৮৮, ইন্ডিয়া- ০০৯১৮৭৩০০৬৪৯২২। বিতর্কীত কীর্তনিয়া “সুষেন বৈদ্য” নিজেকে আত্মপ্রকাশ ও ভাব মুর্তি উজ্জ্বল করতে এবং বাংলাদেশের যুব সমাজকে আকৃষ্ট করতে কীর্তনে ডিজে কন্সাট, বাউল গান, ধামাইল গান ও অনুকরণ ভিত্তিক লীলা পরিবেশন করেন যাহা বৈষ্ণবীয় পদাবলি ও সনাতন ধর্মের সাথে সাংঘর্ষিক, এমনকি নিজেকে মহাপুরুষের সাথে তুলনা করে শ্রী শ্রী গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুকে নিয়েও কটূক্তি মূলক মন্তব্য করে কীর্তন করেন। যাহা বাংলাদেশের সনাতন সম্প্রদায়ের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়। যার প্রেক্ষিতে ইদানিং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিন্দার ঝড় উঠে। সিলেট বিভাগ ও জেলা শহরে উনার কিছু বৈদ্য সম্প্রদায়ের অনুসারি রয়েছে, মূলত অনুসারিরাই কমিশনের বিনিময়ে কীর্তন কন্ট্রাক করে থাকেন। প্রতি বছর ৬ মাসে তিনি ৫০-৬০ লক্ষ টাকা।

আয় করে টাকা গুলো ভারতে নিয়ে যায়। ইদানিং আবারও বৈদ্য অনুসারিদের যোগসাজশে আগামী ১০ নভেম্বর মৌলভীবাজারস্থ রাজনগর থানাধীন চাটুরা গ্রামে (সজল দেব মহোদয়ের বাড়ী) কীর্তনে আসিতেছেন কীর্তন পরিবেশন করতে। ইহাতে যেকোন সময় সনাতন সম্প্রদায়ের ও সমাজের মধ্যে অনাকাঙ্খিত ও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে।

বিষয়টি আমলে নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন সনাতনী জাগ্রত যুব সংঘ ও সনাতন সম্প্রদায়ের লোকজন।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

shares