এম ইজাজুল হক ইজাজ সিলেটঃ
নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী আগামী মে থেকে ধাপে ধাপে অনুষ্ঠিত হবে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। শুরু হয়েছে নির্বাচনের জমজমাট প্রচারণা একই সঙ্গে নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীকে নিয়ে চলছে সরগরম আলোচনা। নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন প্রায় অর্ধেক ডজন। এ নির্বাচনে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে লড়তে চান হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, জেলা আওয়ামীলীগের ১ম সংগঠনিক সম্পাদক নুর উদ্দিন বুলবুল। এ লক্ষ্যে তিনি উপজেলা জুড়ে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। বিভিন্ন এলাকায় করছেন মতবিনিময় ও উঠান বৈঠক। করছেন গণসংযোগ।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সম্পর্কে জানতে চাইলে নুর উদ্দিন চৌধুরী বুলবুল বলেন, ছাত্ররাজনীতি দিয়ে আমার রাজপথে বিচরণ। অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে আমি আজ হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। আমার রাজনীতির একমাত্র উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য হচ্ছে দেশ ও মানুষের কল্যাণ। মানুষের জন্য কাজ করার অভিপ্রায় থেকে আগামী নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আমি চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করছি। জনগণের সমর্থন নিয়েই আমি আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে ইচ্ছুক। এলাকাবাসির পাশে আমি এখনো আছি ভবিষ্যতে ও থাকবো ইনশাল্লাহ, আমি অবহেলিত বঞ্চিত মানুষের পাশে সবসময় থাকতে এজন্য আমি আমার উপজেলাবাসীর সহযোগিতা ও দোয়া চাই। চেয়ারম্যান হলে আমি এ উপজেলাকে স্মার্ট উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলবো । এছাড়া উপজেলার রাস্তা ঘাটের উন্নয়ন, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করে মাদক, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজ মুক্ত উপজেলা গড়তে, অবেহেলিত ও অসহায় মানুষের পাশে থেকে সর্বদা কাজ করতে চাই।
এলাকার জনগণের সুত্রে জানা যায় প্রার্থীদের মধ্যে আলোচনায় রয়েছেন নুর উদ্দিন চৌধুরী বুলবুল। বুলবুল একজন সৎ, সদালাপী, সদাহাস্যজ্জল ও মানবদরদী ব্যক্তিত্ব। নিজস্ব ক্লিন ইমেজ দ্বারা এলকার মানুষের মাঝে সাড়া জাগিয়ে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ভোটের মাধ্যমে জয়লাভ করতে চান। একটি উন্নত জনপদে পরিনত করার অভিপ্রায় নিয়ে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
শতাব্দীর ভয়াবহ দুর্যোগ মহামারি করোনার সময় যখন সারাদেশের সীমিত আয়ের মানুষ মহাসংকটে ছিলেন তখনও তিনি বসে থাকেন নি। তিনি তাহার ব্যাক্তিগত নিজস্ব তহবিলের মাধ্যমে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান। ব্যাতিক্রম হয়নি বন্যায়ও। ছুটে গেছেন পানিবন্দী মানুষের দ্বারে দ্বারে। দিন-রাত কাজ করেছেন মানুষের মলিনমুখে এক চিলতে হাসি ফুটাতে।