ঢাকা ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২২শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
প্রকাশিত: ১১:৩০ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৭, ২০২৩
সিলেটের নিউজ টুয়েন্টিফোরঃ
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও ভাষাসৈনিক অধ্যক্ষ মাসউদ খান বলেছেন, বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানতে হলে বঙ্গবীর জেনারেল এম এ জি ওসমানীকে জানতে হবে এবং মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে হবে। ১ম বঙ্গবীর ওসমানী স্বর্ন পদক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন তরুন প্রজন্মই পারবে বাংলাদেশকে একটি সুখী সমৃদ্ধ এবং উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে, তরুনরাই পারবে বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামে আত্মদানকারী ৩০ লাখ শহিদের এবং বীরমুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করতে।
বর্নিল আয়োজনের মধ্য দিয়ে সিলেট মহানগরীর নাইওরপুলে অবস্থিত ওসমানী জাদুঘর প্রাঙ্গনে শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) বঙ্গবীর ওসমানী গবেষনা ইনষ্টিটিউট এর উদ্যোগে বঙ্গবীর ওসমানী স্বর্নপদক প্রদান অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।
বঙ্গবীর ওসমানী গবেষনা ইনষ্টিটিউট এর মহাসচিব মো. জিয়ারত হোসেন খান ও রুনা সুলতানার যৌথ সঞ্চালনায় এবং বঙ্গবীর ওসমানী গবেষনা ইনষ্টিটিউট এর চেয়ারম্যান ও যোদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ মালেক খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন দেশবরেন্য কবি কালাম আজাদ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোকেট এমাদ উল্লাহ শহিদুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুর রহমান মানিক এবং যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মির্জা জামাল পাশা। এবছর মোট ৩ জন গুনী ব্যাক্তিকে বঙ্গবীর ওসমানী স্বর্ন পদক প্রদান করা হয়। পদকপ্রাপ্তদের মধ্যে মরনোত্তর স্বর্নপদক পেয়েছেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান জাতীয় অধ্যাপক বিগ্রেডিয়ার মরহূম ডা. এ. মালিক।
এছাড়াও স্বর্নপদক পেয়েছেন সাবেক সচিব, লেখক ও কবি এ. এইচ মোফাজ্জল করিম এবং লেখক, গবেষক ও ভাষাসৈনিক প্রফেসর মো.আব্দুল আজিজ।
অনুষ্ঠানে মরনোত্তর স্বর্নপদক প্রাপ্ত ডা. এ মালিকের জীবন বৃত্তান্ত পাঠ করেন সিলেট বি এম এর সভাপতি ডা.শামিমুর রহমান, স্বর্ন পদক প্রাপ্ত অন্য দুইজন গুনী ব্যাক্তির জীবনী পাঠ করেন সিলেট প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি আব্দুল কাদের তাফাদার ও আইনজীবী চৌধুরী আতাউর রহমান আজাদ। এসময় মরহূম ডা. এ. মালিকের পক্ষে মরোনত্তর স্বর্নপদক গ্রহন করেন তাঁর সুযোগ্য দুইপত্র মাসুদ মালিক ও মঞ্জুর মালিক।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সিলেটের ইতিহাসে সর্বপ্রথম ওসমানী গ্রান্ড এওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠান হওয়ায় পুরো সিলেট বিভাগের মানুষ গর্বিত এবং পুলকিত। গুনী ব্যাক্তিদের সম্মাননা প্রদানের মাধ্যনে বঙ্গবীর ওসমানী গবেষনা ইনষ্টিটিউট যে মহৎ কাজটি সম্পাদন করেছে তা অতুলনীয় এবং প্রশংসার দাবিদার। বক্তারা আরো বলেন, বঙ্গবীর ওসমানীর আত্মত্যাগ এবং তার আদর্শিক জীবন সম্পর্কে আগামী প্রজন্মকে ভালোভাবে জানতে হবে এবং মুক্তিযুদ্ধের বই পড়তে হবে।
বঙ্গবীর ওসমানী গবেষনা ইনষ্টিটিউট কর্তৃক গ্রান্ড এওয়ার্ড প্রদান যেন চলমান থাকে এই প্রত্যাশা ব্যাক্ত করেন আমন্ত্রিত অতিথিরা।
পদক প্রদান শেষে, বঙ্গবীর ওসমানী বিষয়ক রচনা প্রতিযোগিতায় ৩ টি বিভাগে সিলেটের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় আড়াই শতাধিক শিক্ষার্থীকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। পুরস্কার পেয়ে শিক্ষার্থীরা উচ্ছাস প্রকাশ করে।
অনুষ্ঠানে প্রথমবারের মতো যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এম এ মালেক খান রচিত এবং প্রখ্যাত সংগীতজ্ঞ বীর মুক্তিযোদ্ধা হিমাংশু বিশ্বাস এর সুরে ও নির্দেশনায় ওসমানী সংগীত পরিবেশন করেন গাজী আফরোজা বিথী, অর্পিতা তালুকদার, সন্দীপন শুভ, পল্লবী দাস মৌ, সুজিত তালুকদার আশীষ সেন, পুস্পিতা তালুকদার, সুষ্মিতা তালুকদার এবং তীর্থ দেব। অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলওয়াত করেন ক্বারী আব্দুল হক।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, ফুলকলি সিলেটের জি এম জসিম উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা উমেশ বৈদ্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম, কবি ইশরাক জাহান জেলী, কবি সেনোয়ারা আক্তার চিনু, কবি সিপারা সিপা এবং চ্যানেল এস টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিবেদক আব্দুল মালিক জাকা প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সিলেটের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিপুল সংখ্যাক শিক্ষার্থী, অভিবাবক এবং গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি
চেয়ারম্যানঃ নারী নেত্রী বিলকিছ নূর
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ এম ইজাজুল হক ইজাজ
অফিসঃ বালুচর সিলেট
ই-মেইল ezazjournalist@gmail.com
ezazulpress@gmail.com
Mobil. 01712873715
Design and developed by AshrafTech