শেখ হাসিনা: এক আদর্শের নাম একজন মানবিক নেতা —————– বিলকিছ নূর

প্রকাশিত: ৬:৪১ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২০

শেখ হাসিনা: এক আদর্শের নাম একজন মানবিক নেতা —————– বিলকিছ নূর

সিলেটের নিউজ টুয়েন্টিফোর ডট কমঃ

সিলেট জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি নারী নেত্রী বিলকিছ নূর মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ৭৪তম জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি গণমাধ্যমে পাঠানো শুক্রবার এক বার্তায় বলেন- আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তাঁর দীপ্ত পদচারণা ও মানবিক উদ্যোগে তিনি দূরদর্শী কূটনীতির এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। এক আদর্শের নাম একজন মানবিক নেতা।
২৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন। জন্মদিনে তাঁর প্রতি অনিঃশেষ শুভেচ্ছা ও প্রাণঢালা অভিনন্দন জ্ঞাপন করছি। ১৯৪৭ সালে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের ঘরে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর অবিসংবাদিত নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠা পায় আধুনিক বাংলাদেশ রাষ্ট্রের। এই দেশের সফল ও সার্থক সরকার প্রধান বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি এক দশকের অধিক সময় ধরে বৈশ্বিক ব্যবস্থাপনায় এক সার্বজনীন স্থিতিশীল উন্নয়নকামী মধ্যেম আয়ের দেশ হিসাবে প্রতিষ্ঠা করেছেন। তাঁর অভিষ্ঠ লক্ষ্য বাংলাদেশের মানুষকে মর্যাদাশীল রাষ্ট্রের অংশীদার করা। তিনি সেই পথেই চলেছেন, দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে নির্দৃষ্ট লক্ষ্যর দিকে দেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ও সাফল্যে আমাদের অনেককেই বিস্মিত করে। কিন্তু আমি ব্যক্তিগতভাবে নৈর্ব্যক্তিক হলে এমনটা হই না- কারণ এটি সময়ের ইতিহাসের এক অনিবার্যতাই বটে। শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর যোগ্য উত্তরসূরি।

বঙ্গবন্ধুর লিখিত পুস্তকাদি পড়লে এবং বিভিন্ন সময়ের ভাষণগুলো মন দিয়ে শুনলে, যথাযথভাবে অনুধাবন করলে বিষয়টি সহজেই অনুমেয় হয়। এ প্রসংগে ১৯৭২ সালে জানুয়ারি মাসে বৃটিশ সাংবাদিক ডেভিট ফ্রস্টকে দেয়া সাক্ষাৎকার এবং ১৯৭৪ সালে ২৫শে সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে প্রদত্ত ভাষণটি রেফারেন্স হিসেবে আমরা স্মরণ করতে পারি। এবং যৌক্তিকভাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনাকে আবিষ্কার করতে গেলে তা হৃদয় ও মস্তিষ্ক দিয়ে অনুধাবন করতে হবে; অধীত জ্ঞানকে প্রবহমান জীবনধারায় প্রোথিত করে চেতনার জগৎকে আলোকিত করতে হবে আমরা যদি উদেশ্যেপ্রণোদিত ও লক্ষহীনভাবে ধাবমান হলে, নিষ্ফলা স্মৃতিচারণে কিংবা নিজ কৃতিত্বের রোমন্থনে নিমগ্ন হলে- তাঁদের দীপ্যমান আলো নিষ্প্রভই রয়ে যাবে।

বাংলাদেশে রাজনীতির অঙ্গনে শেখ হাসিনার অভ্যূদয় হয়েছিল এক ভয়াবহ বেদনাদায়ক বিয়োগান্তক পরিপ্রেক্ষিতে। বলা যেতে পারে ইতিহাসের অলঙ্ঘনীয় পূনরাবৃত্তির ঘটনাচক্রে। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টের পূর্বেই বঙ্গবন্ধুর পরামর্শে ছোট বোন শেখ রেহানা, পুত্র জয়, কন্যা পুতুলসহ জার্মানিতে অবস্থানরত স্বামী প্রখ্যাত পরমাণু বিজ্ঞানী ওয়াজেদ মিয়ার কর্মস্থলে যান। এই নৃশংস ঘটনার সময় শেখ হাসিনা বেলজিয়ামে অবস্থান করছিলেন। পরবর্তীতে সপরিবারে জার্মানী হয়ে ভারতে আসেন। বাঙ্গালীর আত্মবন্ধু শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর পরম মমতায় ও নিরপত্তায় ১৯৮১ সাল পর্যন্ত দিল্লিতে অবস্থান করেন। তিনি ভারতে থাকা অবস্থায় বাংলাদেশের আওয়ামীলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন অতঃপর ১৯৮১ সালের ১৭ মার্চ দেশ প্রত্যাবর্তন করেন। এর পর পরেই সকল ঘটনা রূপকথার মত হলেও সত্যের চেয়ে বেশি সত্য হয়ে ওঠে। আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক দৈন্যতায় আকণ্ঠ নিমজ্জিত একটি জাতি ও রাষ্ট্রকে কি প্রাজ্ঞতায় এত উঁচুতে নিয়ে এসেছেন, অতীত ও বর্তমানের তুলনাতেই তা সবার কাছে স্বচ্ছ হয়ে ওঠে। আমরা জানি, রাজনীতি শেখ হাসিনার জন্য নতুন কিছু নয়, জন্মসূত্রে পাওয়া এক উত্তরাধিকার। শৈশব থেকেই তাঁর পিতা বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক-সংগ্রামী জীবনকে দেখেছেন।

নিজে বাবার হতে প্রয়াশই বঞ্চিত হয়েছেন কিন্তু তাঁর দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়েছেন। গত শতাব্দীর ষাটের দশকে প্রথমে আজিমপুর গার্লস স্কুল এরপর ইডেন গালর্স কলেজে পড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী থাকাকালীন সময়ে তিনি সক্রিয় ছাত্ররাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন। গত একদশকে বাংলাদেশের সবক্ষেত্রেই আকাশছোয়া উন্নয়ন-অগ্রগতি দেশজ ও বৈশিক বিবেচনায় উন্নয়নশীল দেশসমূহে তিনি এক অননুকরনীয় ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছেন। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তাঁর দীপ্ত পদচারণা ও মানবিক উদ্যোগে তিনি দূরদর্শী কূটনীতির এক উজ্জ্বল নক্ষত্র।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

shares